Header Ads

"যে এগারটি কারণে আপনি নিয়মিত পড়াশোনা করবেন"


#একঃ বিজ্ঞানীদের গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন নিয়মিত পড়াশোনার ফলে ব্রেন সেল বা মস্তিষ্কের কোষ বয়স বৃদ্ধিজনিত কারণে স্বাভাবিক ক্ষয় প্রক্রিয়া হতে বেঁচে থাকে অথবা নিদেনপক্ষে ক্ষয়ের এই প্রক্রিয়াটা ধীরগতিতে এগোতে থাকে। এর ফলে বই পাঠক 'আলজাইমার্স' নামক মারাত্মক রোগটি হতে বেঁচে যায় খুব সহজেই।
.
#দুইঃ পরিবার, অফিস, ব্যাবসা বা অন্য কোন কাজে আপনি যখন ক্লান্ত, বিরক্ত সেরকম সময়ে পড়াতে মন দেয়াটা কঠিন। কিন্তু চেষ্টা করে আপনি কোনমতে পছন্দনীয় কোন বিষয়ে যদি পড়াশোনা শুরু করতে পারেন, দেখবেন আপনার মানসিক স্ট্রেস দূর হয়ে গেছে খুব সহজেই।
.
#তিনঃ প্রতিদিন নিয়মিত একটু আধটু পড়ুন। আপনার পছন্দনীয় বিষয় পড়ুন। প্রতিদিন সামন্য সময়ও যদি পড়াশোনা করেন, তাও আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়তে থাকবে। জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে এই জ্ঞান আপনার কাজে লাগবেই। আর কে না জানে জ্ঞানই হলো আসল শক্তি।
.
#চারঃ পড়ুন। যত বেশি পড়বেন, তত বেশি ভাষা ও ভাষার ব্যবহার, তার প্রকাশভঙ্গী শিখবেন। এর পাশাপাশি নতুন নতুন শব্দভাণ্ডার আপনার স্মৃতিতে যোগ হবে। আপনার অলক্ষ্যেই আপনার ভাষা সমৃদ্ধ হতে থাকবে। নতুন নতুন ভাষা শেখার ক্ষেত্রে পড়ার কোন বিকল্প নেই।
.
#পাঁচঃ বিজ্ঞান গবেষণায় দেখা গেছে আপনি যখন পড়ছেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক বেশি বেশি কাজ করছে, মস্তিষ্কের কোষগুলো বেশি মাত্রায় সচেতন ও ক্রিয়াশীল হয়ে উঠে। এর ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলোতে বেশিমাত্রায় রক্ত সরবরাহ হতে থাকে, কোষের বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এতে আপনার মেধা বাড়তে থাকার পাশাপাশি আপনার স্মৃতি শক্তিও বাড়তে থাকবে।
.
#ছয়ঃ নিয়মিত পড়াশোনার ফলে আপনার মধ্যে বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা করার শক্তি গড়ে উঠবে, মনস্তত্ত্বের ভাষায় এটাকে 'Analytical Thinking Skills' বলা হয়ে থাকে। এর ফলে আপনার মধ্যে যেকোন ঘটনার গভীরে দৃষ্টি দেবার মত বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি গড়ে উঠতে থাকবে।
.
#সাতঃ নিয়মতি পাঠাভ্যাস আপনাকে মনোযোগী হয়ে উঠতে সাহায্যয করবে। আপনাকে যেকোন কাজেজে পূর্ব পরিকল্পনামত মনোযোগী হয়ে উঠার জন্য দুর্লভ গুণে গুণান্বিত করে তুলবে। এটা বহুল প্রমানিত একটা বিষয়। যাদের নিয়মিত পাঠাভ্যাস আছে, তারা পড়াশোনার বাইরের যেকোন কাজেও লক্ষস্থিরপূর্বক (Focused) মনোযোগী হতে পারেন।
.
#আটঃ নিয়মিত পড়াশোনার কারণে আপনার ঝুলিতে যে ভাষা ও শব্দসম্ভার যোগ হবে তাই না, আপনার নিজের প্রকাশভঙ্গীও উন্নত হবে। আপনার ভেতরে লেখালেখির শক্তি ও দক্ষতা তৈরী হতে থাকবে।
.
#নয়ঃ মেডিক্যাল সায়েন্সের গবেষণায় দেখা গেছে, আপনার বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্মীয় বই-পত্র ও আর্টিকেল পড়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তির রক্তচাপ কমে যায়। মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ দূর হয় এবং মনে স্থিরতা(Tranquillity) আসে।
.
#দশঃ পড়াশোনা একটা বিনোদন। আপনার মন প্রফুল্ল থাকবে। মানসিক শান্তি পাবেন নিয়মিত পড়াশোনা করলে।
.
#এগারঃ নিয়মিত পড়াশোনা করাটা আপনার একান্তই কর্তব্য এ কারণে যে, পড়াশোনা একজন মুসলমানের জন্য ফরজ।"


ফেইসবুকে আমি...

No comments

Powered by Blogger.