Header Ads

পড়ার টেবিলে মন বসানোর উপায়

পড়তে বসতে ইচ্ছা করে না। এই সমস্যাটা আসলে সব শিক্ষার্থীর নয়, তবে বেশির ভাগেরই এমন সমস্যা রয়েছে। কিন্তু ইচ্ছা না করলেও পরীক্ষা তো দিতে হবেই। তা থেকে রেহাই কারও নেই। আপনি যদি এমন কোনো রোগী হয়ে থাকেন যে আপনার পড়তে বসতে একেবারেই ইচ্ছা করছে না। পড়ার টেবিলে মন বসে না। এই নিয়ে গান, কবিতা কোন কিছুরই কমতি নেই। এমনকি এই বিষয়টি নিয়ে একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছে— ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’! এ সমস্যার প্রধান উপসর্গ হলো, পড়তে যেন কিছুতেই ভালো লাগে না। তবু যে পড়তে হবে! কিছু বিষয় অনুসরণ করে দেখুন, সহজেই মন বসবে। তার আগে জানা যাক কেন পড়ার টেবিলে মন বসে না। গবেষকদের মতে, পড়তে মন না বসার প্রধান কারণ অস্থিরতা। স্থির হয়ে নিজেকে বার বার প্রশ্ন করুন, আপনি কেন পড়তে বসছেন না। ভাবতে থাকুন, আপনার সহপাঠীরা এ মুহূর্তে পড়ছে। কে চায় নিজের ক্ষতি করতে! এবার কয়েকটি ধাপে মনোযোগ আনার চেষ্টা করুন— এক. স্থির করুন কী পড়বেন। আর তার আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করে নিন কেন পড়ছেন। অর্থাৎ পড়ালেখার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে। দুই. যদি ঘুম ঘুম লাগে তবে পড়তে বসবেন না। পত্রিকা পড়ে বা মজার কিছু করে ঘুম তাড়ানোর চেষ্টা করুন। এটা মনে রাখবেন, ঘুম চোখে পড়লে শুধূ সময়ই নষ্ট হবে। কোনো কাজে আসবে না। এর চেয়ে ঘুমানোই ভালো। ঘুম চলে গেলে বই নিয়ে বসে যান। এবার দেখুন মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারছেন। তিন. যা পড়ছেন ভালোভাবে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। না বুঝে পড়লে কাজে আসবে না। আরেকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে, যত অল্প কিংবা বেশি পড়েন না কেন, তা যেন মনযোগ সহকারে হয়। তাই পড়ার পরিবেশটা যেন সুন্দর হয় লক্ষ রাখুন। সুন্দর মানে কিন্তু ব্যয়বহুল নয়। পরিচ্ছন্ন পরিবেশের সৌন্দর্য অমূল্য। মনোযোগ আপনার বাড়বেই। পড়ায় মন বসাতে যে কাজগুলো করতে পারেন আপনি- ১. লক্ষ্য ঠিক করুন : আপনার লক্ষ্য নিশ্চয়ই ঠিক করাই আছে। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার লক্ষ্যটিকে মনে করে আবার ঝালাই করুন। আপনি চাইছেন এবারের পরীক্ষায় যে করেই হোক একটা আকাক্ষিত পয়েন্টে নিয়ে যাবেন আপনার রেজাল্ট। এই লক্ষ্যে পূরণ করতে একটু নিবিষ্ট হন। দেখবেন আপনার মাঝে একটা জিদের উদ্ভব হয়েছে এবং আপনি আবারো পড়ায় মন দিতে পারছেন। ২. ক্ষুধা নিবারণ করুন : এমন অনেক সময় দেখা গেছে যে অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগলে আর পড়তে মন চায় না। এমনিতেই পড়তে বসলে একটু পর পর ক্ষুধা লাগে। এ ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন আপনার ক্ষুধা লেগেছে কিনা। যদি ক্ষুধা লেগে থাকে তাহলে তা নিবারণ করার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণে আহার করে আবার পড়তে বসুন। দেখবেন এবার আপনার পড়ায় মন বসেছে। ৩. সময় সচেতন হোন : নির্দিষ্ট মানুষের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় রয়েছে যে সময়ে পড়া খুব দ্রুত আয়ত্বে আসে। যেমন কেউ অনেক ভোরে পড়েন, কেউ সারাদিন পড়েন. কেউ আবার অনেক রাতে পড়েন। আপনার কোন সময়টাতে পড়া হয় সে সময়ে পড়তে বসুন। প্রয়োজনে একটা রুটিন তৈরি করে নিতে পারেন। যে সময়ে পড়া হয় না সে সময়ে অযথা পড়তে বসে এ্যানার্জি নষ্ট না করে ঘুমিয়ে ব্রেনটাকে বিশ্রাম দিন। ৪. গান শুনুন : গান শুনতে সবারই অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে পরীক্ষার সময়ে। যদি এমন হয়ে থাকে যে আপনি হয়ত অনেকক্ষণ ধরে পড়ছেন কিন্তু এমন একটা সময় উপস্থিত যখন আর পড়া মাথায় ঢুকছে না। এমতাবস্থায় আপনি কিছুক্ষণের জন্য গান শুনতে পারেন। এর ফলে আপনি মানসিকভাবে প্রশান্তি পাবেন এবং দেখবেন পড়ায় পুনরায় মনোযোগ ফিরে এসেছে। ৫. ঘুমিয়ে নিন : অনেকক্ষণ ধরে পড়লে মস্তিষ্কে অনেক চাপ পড়ে। ফলে মস্তিষ্ক আর কাজ করতে পারে না। এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেন তাহলে ব্রেনের রিফ্রেশমেন্ট হবে। এর ফলে খুব দ্রুত আবার পড়া ক্যাচ করতে পারবে আপনার ব্রেন। এজন্য অতিরিক্ত চাপ কমাতে অবশ্যই কিছুটা ঘুমিয়ে নিন। ৬. মিষ্টি জাতীয় খাবার খান : মিষ্টি জাতীয় খাবার দেহে যাওয়া মাত্র সারা শরীরকে সতেজ করে তোলে। এছাড়া ব্রেনের কাজ করার ক্ষমতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। ৭. মেডিটেশন করুন : মেডিটেশন মন ও শরীর দুইই প্রাণবন্ত করে তোলে। মেডিটেশনের ফলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং কাজ করা ক্ষমতা বেড়ে যায়। এছাড়া মেডিটেশনের ফলে ব্রেন এর রিফ্রেশমেন্ট ঘটে। ফলে পড়া খুব দ্রুত মুখস্ত হয়ে যায় এবং তা বহুক্ষণ মনে থাকে।

সুত্রঃ ইন্টারনেট

No comments

Powered by Blogger.