Header Ads

এইচএসসি পরীক্ষার্থী ::: ২০১৮ পরীক্ষার খাতায় লিখব কিভাবে !!!!!













পরীক্ষার খাতায় লিখব কিভাবে !!!!!
আর একমাস পরেই শুরু হতে যাচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা।
সম্প্রতি ৬ টার পরিবর্তে ৭ টা সৃজনশীল চালু হয়েছে। অবশ্যই পরীক্ষার্থী দের জন্য এই ঘোষনাটি সুখকর নয় । আমার জন্যও ছিল না
 https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/fb0/1.5/16/1f609.png;)
যেহেতু আমাদের সবার মাঝেই পরীক্ষাভীতি রয়েছে তার উপর ৭ টা সৃজনশীল আনসার করতে হবে, সো, পরীক্ষার্থী দের টেনশনে থাকারই কথা। তবে শুধু টেনশন করলে তো হবে না, কিভাবে সময়ের মধ্যে ৭ টা সৃজনশীল উত্তর করতে হবে ও পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হবে সেই টেকনিক ও জানতে হবে।
আমার পরীক্ষার অভিজ্ঞতা থেকে খাতায় লেখার ও ভালো নম্বর পাওয়ার কিছু কৌশল দিয়ে দিলাম। আশা করি তোমাদের কাজে আসবে। https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/faa/1.5/16/1f603.png:D
বলা হয়ে থাকে "আগে দর্শনদারী পরে গুণবিচারী" । একজন এক্সামিনার প্রথমেই তোমার খাতার দিকে, হাতের লেখার দিকে তাকাবেন । হাতের লেখা যদি খারাপ হয় তাহলে কোনো এক্সামিনারই সেটা ভালো করে দেখার আগ্রহ পোষন করবেন না। তুমি অনেক পার, কিন্তু হাতের লেখা খারাপ । কোনো লাভ হবে না। সো, এখন থেকেই হাতের লেখা সুন্দর করার প্র্যাকটিস কর। নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে খুব দ্রুতই তোমার হাতের লেখা সুন্দর হয়ে যাবে।
খাতায় সুন্দর করে মার্জিন দাও। মার্জিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। অবশ্য মার্জিন আমরা সবাই দিয়ে থাকি। কিন্তু এটা জানা প্রয়োজন যে মার্জিন এর মধ্যেও একটা আর্ট রয়েছে। অনেকে দেখা যায়, মার্জিন দিয়ে অর্ধেক খাতাই শেষ করে ফেলেছে, আবার অনেকে এত্ত ছোট করে দিয়েছে যে বোঝাই যাচ্ছে না এটা আসলে কি। যাইহোক, মার্জিন এত আদর্শ মাপটা হলো- বাম পাশে ১ ইঞ্চি আর উপরে দেড় ইঞ্চি। মার্জিন দিতে হবে পেঞ্চিল দিয়ে। সুন্দর মার্জিন তোমার খাতার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেবে।
আমরা প্রায় সবাই ই শুধু কালো বলপেন দিয়ে পরীক্ষায় লিখে দিয়ে আসি। কিন্তু আমরা যদি কালো কালির সাথে নীল কালি ব্যাবহার করি তাহলে সেটা অর্থবহ ও সুন্দর দেখায়। আমার এক্সামের সময় আমি এটা ভালোভাবে উপলব্ধি করেছিলাম। আমি "১ নং প্রশ্নের উত্তর বা Ans to the question no-1" নীল কালি দিয়ে লিখতাম ও নিচে নীল কালি দিয়ে একটা দাগ দিতাম। এমনকি যেসব উত্তর পয়েন্ট দিয়ে লিখতে হয়, সেসব পয়েন্ট আমি নীল কালির বলপেন দিয়ে লিখতাম। এতে করে দেখা যেতো সব উত্তর লেখা শেষে আমার খাতাটি আরো সুন্দর দেখাচ্ছে ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলা ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে। সো, সবাই ট্রাই করবা কালো কালির পাশাপাশি নীল কালির বলপেন ইউজ করতে।
আমার পুরো ক্লাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লিখতাম আমি । লেখার তেমন গতি ছিল না। কম কম লিখে ৭ টা সৃজনশীল শেষ করতাম। কিন্তু এক্সাম শেষে দেখা যেতো, অনেক ভাল মার্কস আসতো। যাইহোক, আমরা আসলে ছোটবেলা থেকেই একটা ধারণা পোষন করে আসছি যে, বেশি লিখলে বেশি মার্কস পাওয়া যায়। কিন্তু এই ধারণাটি আসলে ভুল। এক্সামিনার রা কখনোই বেশি লেখা পছন্দ করেন না বরং পরিমিত লেখা পছন্দ করেন। সো, বেশি নয় , বরং লিখতে হবে পরিমিত কিন্তু প্রশ্নের সাথে সামঞ্জস্য । এজন্য প্রত্যেকটা পাঠের মূল বিষয়টা জানা অতীব জরুরি । যেমন:: "বিড়াল" গল্পের মূল বিষয় হলো- সমাজের নিম্নশ্রেণীর প্রতি উচ্চশ্রেণীর শোষন ও অবহেলা। শুধু এই বিষয়টা জানা থাকলেই কিন্তু পুরো পাঠ সম্পর্কে একটা ধারণা চলে আসে । তাই, সবসময় পরিমিত কিন্তু যথার্থ লিখার চেষ্টা করবে। আর ৭ টা সৃজনশীল পুরোপুরি আনসার করতে পরিমিত লেখার বিকল্প নেই।
আমরা প্রায় সময়ই পরীক্ষার খাতায় এমনভাবে লেখা শুরু করি যে বোঝাই যায় না কোনটা কোন প্রশ্নের উত্তর। স্যাররাও এটা দেখে বিরক্ত হন। তাই উত্তর লেখার সময় আমাদের প্যারা করে লিখতে হবে । যেমন, আমি আমার এই লেখার মধ্যে প্যারা করে লিখেছি। এতে বুঝতেও সুবিধা হচ্ছে। যদি আমি একটানা লিখেই যেতাম, তাহলে কিচ্ছু বোঝা যেত না আর পড়তেও ভালো লাগত না। তাই উত্তর লেখার সময় সবসময় প্যারা করে লিখবে। আর সৃজনশীল প্রশ্নের মানবন্টন তো জানই। ওই অনুসারে লিখবে ।
টাইম ম্যানেজমেন্ট টা এখন থেকেই প্র্যাকটিস করো। প্রতিদিন সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লিখ টাইম ধরে। অনেকে সব প্রশ্নের উত্তর আনসার করতে পারে না। সেক্ষেত্রে টাইম ম্যানেজমেন্ট অনেক ইম্পরট্যান্ট।
সবশেষে এটাই বলব যে, পড়, প্র্যাকটিস কর আর নিজের প্রতি আস্থা রাখ। পরীক্ষাভীতি দূর কর। অন্য পরীক্ষার্থী রাও কিন্তু তোমার মতই। সো, সবকিছু সহজভাবে নাও আর ভালো করে পরীক্ষা দাও।
শুভকামনা সবার জন্য...




No comments

Powered by Blogger.